মিয়ানমার ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আসার পরও দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেনি।
ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার সংবাদে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সেঞ্চুরিতে পৌঁছে
যাওয়া দেশের পেঁয়াজের দাম এখনও এক’শ টাকার ওপরে রয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা
বলছেন, মাসখানের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে পারে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শ্যামবাজার, কারওয়ানবাজার, রামপুরা, মালিবাগ
হাজীপাড়া, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, মতিঝিল অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দাম বেড়ে যাওয়ার পর বাস্তবে
পেঁয়াজের দাম আর কমেনি এবং বাড়েনি। গত ১৫ দিন পেঁয়াজের দাম অনেকটাই স্থির
রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ২৯ সেপ্টেম্বরের পর ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ একদিনের
জন্যও ১০০ টাকার নিচে নামেনি। এখনও ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা
কেজি বিক্রি হচ্ছে। তাহলে দেশি পেঁয়াজের দাম নতুন করে বাড়লো কীভাবে?
ঢাকার সব থেকে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,
মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজের কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা। মিশর
থেকে আসা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে
৬০-৬৫ টাকা কেজি। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি।


এদিকে খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রতিকেজি দেশি পিঁয়াজ বিক্রি
হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। ভালো মানের আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা
কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯৫ টাকা কেজি।
শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ
করলেও মিয়ানমার ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আসছে। তবে মিয়ানমার থেকে যে পেঁয়াজ আসছে
তার বড় একটি অংশ নষ্ট। যে কারণে ভালো মানের পেঁয়াজের দাম কমছে না।
এ ব্যবসায়ী বলেন, ভারত রফতানি বন্ধ করার পর পেঁয়াজের দাম যে বেড়েছিল,
তারপর আর দাম কমেনি। কিন্তু কিছুদিন আগে নিউজ দেখলাম পেঁয়াজের দাম কমেছে।
এখন আবার দেখছি কেউ কেউ লিখছে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এসব তথ্য কোথা থেকে আসে
বলতে পারবো না। তবে শ্যামবাজারে গত ১০-১৫ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম যেমন
কমেনি, তেমনি নতুন করে বাড়েনি।
তিনি আরও বলেন, এখন পেঁয়াজার দাম বেশি হলেও কিছুদিনের মধ্যে কমে যাবে।
কারণ, নভেম্বরের শুরু থেকেই নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে। আর
নতুন পেঁয়াজ আসলে সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি দামও কমে যাবে।
রামপুরার ব্যবসায়ী জামাল বলেন, গত ১০-১৫ দিন ধরে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ
১০০ টাকা এবং নিম্ন মানেরটা ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আর আমদানি করা ভালো
মানের পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৮০ টাকা কেজি। দাম বাড়ার পর থেকেই আমরা এই দামে
পেঁয়াজ বিক্রি করছি। তবে প্রথমদিন (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকাতেও
বিক্রি করেছিলাম।
সেগুনবাগিচার ব্যবসায়ী আলম বলেন, দাম বাড়ার পর আমরা কোনোদিন দেশি
পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার নিচে বিক্রি করিনি। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ১১০
টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজও ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। নতুন পেঁয়াজ না
আসা পর্যন্ত দাম কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই।