নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি দলীয় এমপিদের প্রবল বিরোধীতার মুখে আজ সংসদে দেশের ৬১টি স্বায়ত্বশাসিত, সরকারি কর্তৃপক্ষ ও স্ব-শাসিত সংস্থার ব্যাংকে থাকা বিপুল পরিমাণ উদ্ধৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমার বিধান রেখে আনা একটি বিল পাস হয়েছে। এর আগে ’কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে বিলটি প্রত্যাহারের জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানান। পরে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় মেটাতেই অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর প্রতিবাদে বিএনপি দলীয় তিন সংসদ সদস্য সংসদ থেকে ওয়াক আউট করে। নিকট অতীতে কোন বিল পাসে এরকম বিরোধীতার নজির দেখা যায়নি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু
হওয়া সংসদ অধিবেশনে ‘স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক
নন ফাইন্যান্সিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থা সমুহের উদ্ধৃত্ত অর্থ
সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন-২০২০’ শীর্ষক বিলটি পাসের প্রস্তাব
উত্থাপনকালে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমান
অর্থের সংস্থান প্রয়োজন। যা বর্তমান সংগৃহীত রাজস্ব দ্বারা মেটানো দূরূহ
হওয়ায় সংস্থা সমূহের তহবিলে রক্ষিত উদ্ধৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা
প্রদানের মাধ্যমে বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত উন্নত দেশ গড়ার পরিকল্পনা
বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই বিলটি আনা হয়েছে। ওই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধীতা করেন
জাতীয় পার্টির মো.ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, মো. মুজিবুল হক ও
ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং বিএনপি’র মো. হারুনুর রশীদ ও
ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা।
তারা বিলটি প্রত্যাহার এবং জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন।
তারা বলেন, ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলো খালি হয়েছে। পূঁজিবাজারে ধস
নেমেছে। আর্থিক খাতে অবাধ লুটপাট চলছে। ব্যাংক ডাকাতি ও বিপুল পরিমাণ অর্থ
বিদেশে পাচার হয়ে গেলেও সরকারের কোন পদক্ষেপ নেই। তাই বিলটি পাস হলে
ব্যাংকখাতের মতো স্বায়ত্তশাসিতসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও দেউলিয়া হয়ে
যাবে। কারণ তালিকাভূক্ত ৬১টি প্রতিষ্ঠান নয়, নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান যুক্ত
করার বিধান রাখা হয়েছে। বিএনপি দলীয় এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, একটি কালো আইন
তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে ৬১টি প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। সেই
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক ও
গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান আছে। বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত
নির্দিষ্ট আইনের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সেই আইন পরিবর্তন না করে সরাসরি
একটি আইন তৈরি করে সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা প্রত্যাহার করে নেবেন। তিনি
বলেন, আমি এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য বিলটি কমিটিতে
আলোচনার সময় অর্থসচিব ছিলেন, উনি বলেছেন সরকারের অর্থের দরকার। তিনি বলেন,
উন্নয়নের দরকার আছে, অর্থের দরকার আছে, কিন্তু সক্ষমতা কতটুক আমার অর্থের
কতটুক প্রয়োজন? সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে অর্থ প্রত্যাহার করবেন এটা হতে
পারে না। এই টাকা ব্যাংকে জমা আছে। তাই প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যাংকগুলো।
অর্থসচিবই কমিটিতে বলেছেন ২ লাখ ৩৫ হাজার কোটি জমা আছে। এই টাকা তুলে আনলে
ব্যাংকগুলো অর্থনীতি সংকট হবে, মারাত্মক বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।
প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি দলীয় এমপিদের প্রবল বিরোধীতার মুখে
আজ সংসদে দেশের ৬১টি স্বায়ত্বশাসিত, সরকারি কর্তৃপক্ষ ও স্ব-শাসিত
সংস্থার ব্যাংকে থাকা বিপুল পরিমাণ উদ্ধৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমার
বিধান রেখে আনা একটি বিল পাস হয়েছে। এর আগে ’কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে বিলটি
প্রত্যাহারের জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানান। পরে সরকারের উন্নয়ন
প্রকল্পের ব্যয় মেটাতেই অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের
প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর প্রতিবাদে বিএনপি দলীয় তিন সংসদ
সদস্য সংসদ থেকে ওয়াক আউট করে। নিকট অতীতে কোন বিল পাসে এরকম বিরোধীতার
নজির দেখা যায়নি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু
হওয়া সংসদ অধিবেশনে ‘স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক
নন ফাইন্যান্সিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থা সমুহের উদ্ধৃত্ত অর্থ
সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন-২০২০’ শীর্ষক বিলটি পাসের প্রস্তাব
উত্থাপনকালে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমান
অর্থের সংস্থান প্রয়োজন। যা বর্তমান সংগৃহীত রাজস্ব দ্বারা মেটানো দূরূহ
হওয়ায় সংস্থা সমূহের তহবিলে রক্ষিত উদ্ধৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা
প্রদানের মাধ্যমে বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত উন্নত দেশ গড়ার পরিকল্পনা
বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই বিলটি আনা হয়েছে। ওই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধীতা করেন
জাতীয় পার্টির মো.ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, মো. মুজিবুল হক ও
ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং বিএনপি’র মো. হারুনুর রশীদ ও
ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা।
তারা বিলটি প্রত্যাহার এবং জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন।
তারা বলেন, ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলো খালি হয়েছে। পূঁজিবাজারে ধস
নেমেছে। আর্থিক খাতে অবাধ লুটপাট চলছে। ব্যাংক ডাকাতি ও বিপুল পরিমাণ অর্থ
বিদেশে পাচার হয়ে গেলেও সরকারের কোন পদক্ষেপ নেই। তাই বিলটি পাস হলে
ব্যাংকখাতের মতো স্বায়ত্তশাসিতসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও দেউলিয়া হয়ে
যাবে। কারণ তালিকাভূক্ত ৬১টি প্রতিষ্ঠান নয়, নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান যুক্ত
করার বিধান রাখা হয়েছে। বিএনপি দলীয় এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, একটি কালো আইন
তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে ৬১টি প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। সেই
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক ও
গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান আছে। বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত
নির্দিষ্ট আইনের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সেই আইন পরিবর্তন না করে সরাসরি
একটি আইন তৈরি করে সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা প্রত্যাহার করে নেবেন। তিনি
বলেন, আমি এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য বিলটি কমিটিতে
আলোচনার সময় অর্থসচিব ছিলেন, উনি বলেছেন সরকারের অর্থের দরকার। তিনি বলেন,
উন্নয়নের দরকার আছে, অর্থের দরকার আছে, কিন্তু সক্ষমতা কতটুক আমার অর্থের
কতটুক প্রয়োজন? সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে অর্থ প্রত্যাহার করবেন এটা হতে
পারে না। এই টাকা ব্যাংকে জমা আছে। তাই প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যাংকগুলো।
অর্থসচিবই কমিটিতে বলেছেন ২ লাখ ৩৫ হাজার কোটি জমা আছে। এই টাকা তুলে আনলে
ব্যাংকগুলো অর্থনীতি সংকট হবে, মারাত্মক বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।
ব্যারিস্টার
রুমিন ফারহানা বলেন, এই বিল সরকারের ধারাবাহিক লুটপাটের এক প্রতীক। পুরো
বিলটি চ্যালেঞ্জ করছি। টাকা পাচার মন্দ ঋণের কারণে ব্যাংকে চলছে তারল্য
সংকট। শেয়ার মার্কেট ধ্বংসের দারপ্রান্তে। অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন,
উনি সাধারণ অবস্থা থেকে অত্যান্ত বড় শিল্পপতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে
পেরেছেন। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী অসাধারণ মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সাধারণ
অবস্থা থেকে ব্যবসায়ী হয়েছেন। উনি অর্থনীতি বোঝেন না এটা পাগলেও বিশ্বাস
করবে না। তাহলে সমস্যটা কোথায়? উনার সদিচ্ছার অভাব। এত মেধাবী তিনি কিন্তু
শেয়ারবাজার, খেলাপি ঋণ নিয়ে কিছু করলেন না। কেন মেধাবী অর্থমন্ত্রী এদিকে
নজর দিচ্ছেন না। উনি ধনী সমাজের জন্য অর্থমন্ত্রী হন নাই। কেন খেটে খাওয়া
মানুষের দিকে উনার নজর নেই। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন,
অর্থমন্ত্রী শিক্ষিত লোক। চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। উনার সময়ে পুঁজিবাজারে ১০
হাজার ইনডেক্স উঠেছিলো। যখন উনি পরিকল্পনা মন্ত্রী। তখনই তিনি বলেছিলেন, ৪
হাজার হওয়ার কথা, কিভাবে ১০ হাজার হলো। উনি জানতেন না। ব্যাংকের মালিক
সমিতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রী বসেন। কিভাবে হয় এটা? নিরঙ্কুশ
সংখ্যাগরিষ্ঠের ক্ষমতা দেখাবেন না। পৃথিবীতে অনেক দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে।
ক‘দিন পরে আমার একাউন্টের টাকা নিয়ে নেবে কি না সেই ভয়ে আছি। টাকা এখন
ব্যাংক থেকে নিয়ে বাসায় নিয়ে যাবো কি না ভাবছি।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, এই বিল সরকারের ধারাবাহিক লুটপাটের এক প্রতীক। পুরো বিলটি চ্যালেঞ্জ করছি। টাকা পাচার মন্দ ঋণের কারণে ব্যাংকে চলছে তারল্য সংকট। শেয়ার মার্কেট ধ্বংসের দারপ্রান্তে। অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, উনি সাধারণ অবস্থা থেকে অত্যান্ত বড় শিল্পপতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী অসাধারণ মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সাধারণ অবস্থা থেকে ব্যবসায়ী হয়েছেন। উনি অর্থনীতি বোঝেন না এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। তাহলে সমস্যটা কোথায়? উনার সদিচ্ছার অভাব। এত মেধাবী তিনি কিন্তু শেয়ারবাজার, খেলাপি ঋণ নিয়ে কিছু করলেন না। কেন মেধাবী অর্থমন্ত্রী এদিকে নজর দিচ্ছেন না। উনি ধনী সমাজের জন্য অর্থমন্ত্রী হন নাই। কেন খেটে খাওয়া মানুষের দিকে উনার নজর নেই। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, অর্থমন্ত্রী শিক্ষিত লোক। চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। উনার সময়ে পুঁজিবাজারে ১০ হাজার ইনডেক্স উঠেছিলো। যখন উনি পরিকল্পনা মন্ত্রী। তখনই তিনি বলেছিলেন, ৪ হাজার হওয়ার কথা, কিভাবে ১০ হাজার হলো। উনি জানতেন না। ব্যাংকের মালিক সমিতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রী বসেন। কিভাবে হয় এটা? নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠের ক্ষমতা দেখাবেন না। পৃথিবীতে অনেক দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। ক‘দিন পরে আমার একাউন্টের টাকা নিয়ে নেবে কি না সেই ভয়ে আছি। টাকা এখন ব্যাংক থেকে নিয়ে বাসায় নিয়ে যাবো কি না ভাবছি।