ডেস্ক রিপোর্টঃ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাজাকারদের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা কয়েকজনের নাম প্রকাশ করা প্রসঙ্গে বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উনারা যা দিয়েছেন সেই পেনড্রাইভে যা ছিল আমরা তা হুবহু প্রকাশ করেছি। দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন এবং সংযোজন-বিয়োজন কোনো কিছুই করিনি। আর যাচাই বাছাই না করে নাম প্রকাশ করায় আমরা ভুল স্বীকার করছি এবং এর দায়ভার আমাদেরই। বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ বিজয় মেলা মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমি জানি বল্লার চাকে হাত দিয়েছি। রাজাকার, আলবদর, আলসামসদের তালিকা প্রকাশ করেছি। তবে দুঃখের সঙ্গে স্বীকার করছি আমাদের একটু ভুল হয়ে গেছে। আমি সেই জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কিছু লোক এবং যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাদের কয়েকজনের নাম রাজাকারের তালিকায় এসে গেছে।
বিএনপি,
জামায়াতের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আমরা ভুলেও ভাবতে পারিনি ওরা যে ২৫ বছর
ক্ষমতায় ছিল আর ক্ষমতায় থাকার সময় হয়তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রক্ষিত
কাগজপত্রে কিছু কারচুপি করে গেছে। তাদের সেই কারচুপির কারণে আজ যারা কষ্ট
পেয়েছেন সেজন্য আমরা আবারো দুঃখ প্রকাশ করছি। অচিরেই আমরা যাচাই করে তা
প্রত্যাহার করে নেবো। কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলসামসদের নাম থাকবেই।
মন্ত্রী আরো বলেন, এই তালিকায় ইচ্ছাকৃত ভুল ছিল না। রাজাকারদের তালিকায়
যাদের নাম ছিল, তা সঠিক ছিল বলে বিশ্বাস করা হয়েছিল। এ কারণে যাচাই বাছাই
না করেই তালিকা প্রকাশ করায় আমরা হোঁচট খেয়েছি। কাজ করতে গেলে ভুল তো হতেই
পারে। ৬৪ জেলার ৪৬০টি উপজেলায় যে সম্পূরক তালিকা আসবে তা পূর্ণ সতর্কতার
সঙ্গে প্রকাশ করা হবে। ত্রুটিপূর্ণ তালিকা মন্ত্রণালয়ের নিজ উদ্যোগে সংশোধন
করা হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের তালিকা প্রকাশ
করায় সঙ্গত কারণেই একটা বিশেষ শ্রেণি ক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। বিএনপি মহাসচিব
মির্জা ফখরুল বলেছেন, ৪৮ বছর পরে রাজাকারদের তালিকা করার কি দরকার? তারা
তো বলবেই। কারণ তাদের আঁতে ঘা লেগেছে। কি করে তারা বুঝলেন যে, তাদের দলেই
রাজাকার আছে। তারা (বিএনপি) বলছে, ষড়যন্ত্র করে তাদের নাম নাকি লিখে দেয়া
হয়েছে। কোনো কিছু হলেই তারা শুধু ষড়যন্ত্র দেখে। এটা তাদের মুখস্থ কথা।
যুদ্ধকালীন কমান্ডার তোবারক হোসেন লুডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের
মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা পরিষদের
চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম,
বিজয়মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, শিক্ষা
বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান হানজেলা, মানিকগঞ্জ স্থানীয়
সরকারের উপ-পরিচালক ফৌজিয়া খান প্রমুখ।