নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী আসার অপরাধে এক লঞ্চের
সুপারভাইজার, মাস্টার, সুকানিসহ ৩৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১৪ দিন
কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জানা গেছে, ওই লঞ্চের
মাঝনদীতেই তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। গতকাল রাত ১১টার
দিকে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় এ
নির্দেশ দেন। এ সময় সেখানে পটুয়াখালীর নৌবন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর
রহমান উপস্থিত ছিলেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত মঙ্গলবার
সরকার সারা দেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বৃহস্পতিবার লঞ্চটি ঢাকা থেকে পটুয়াখালী এসে
পৌঁছায়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম
চৌধুরীর নির্দেশে গতকাল রাতে বরিশাল নৌবন্দরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ
সময় বন্দরসংলগ্ন নদীর মধ্যে আলো-বাতি বন্ধ করা সুন্দরবন-১৪ নামে লঞ্চটি
দেখা যায়। লঞ্চের স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লঞ্চটি বিনা অনুমতিতে ও
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গতকাল সকালে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে
আসে। পরে এটি ঘাটসংলগ্ন মাঝনদীতে নোঙর করে রাখা হয়।
নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় বলেন, আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী, ঢাকা
ফেরত যাত্রী বা লোকদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার বাধ্যবাধকতা থাকায় ওই
লঞ্চের স্টাফদের লঞ্চেই কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী
নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, লঞ্চটি পটুয়াখালী
আসছে, এমন খবর পেয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের
সঙ্গে অভিযান চালানো হয়।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী
এসেছে। ফলে লঞ্চটি বন্দরে বা নদীর পাড়ে নোঙর না করে ১৪ দিন মাঝনদীতে নোঙর
করে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।